ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ অফিস মনগড়া বিল তৈরী সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার

আলা উদ্দিন, ঈদগাঁও ::  কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, ঈদগাঁও সাব জোনাল অফিসের আওতাধীন বৃহৎ এলাকার গ্রাহক সমাজ অতিষ্ট, মনগড়া আর ভূতুড়ে বিল করায়। ঈদগাঁও পবিস অফিসের এজিএমের কাছে যার কোন সুরাহা পাচ্ছেনা গ্রাহক সমাজ।

একদিকে বৈশ্বিক করোনা মহামারী, অন্যদিকে মন গড়া দ্বিগুন বিল আদায়। এই দু সমস্যা নিয়ে মহা টেনশনে বৃহৎ এলাকার গ্রামীন জনপদের পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।

করোনায় লকডাউন চলাকালীন ২/৩ মাস অতিরিক্ত বিলের বোঝা বহন করতে হয় গ্রাহকদের কে। যে সময়েই সবকিছু বন্ধ থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে দু-মুঠো ডাল ভাত খেতে বিপাকে পড়ছেন মানুষ, সে মুর্হুতেই পবিস কর্তৃপক্ষের ভূতুড়ে বিল যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি গ্রাহকরা হতাশ হয়ে প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলছেন। প্রতিমাসের বিদ্যুৎ বিলে ৩শ থেকে ৪শত টাকা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এছাড়া দৈনিক ঈদগাঁও পবিস অফিসের সামনে ভুক্তভোগীরা অপেক্ষা করেও সুরাহা পাচ্ছেনা কর্মকর্তাদের কাছে। অভিযোগও ভালভাবে শুনতে চাইনা গ্রাহকদের। পাড়া মহল্লা জুড়ে পবিস সংক্রান্ত সমস্যায় জর্জরিত। কেউ আসছেন মিটারে ব্যবহৃত ইউনিটের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ বিল করে দেয়ায়, কেউবা প্রতি মাসের বিল মনগড়া কিংবা রিডিং না দেখে বিল করা হচ্ছে, কেউ কেউ বলছেন পরিশোধ করা বিল পরবর্তী মাসে বকেয়া হিসেবে তুলে দেয়া হচ্ছে বিলের কাগজে। এসব অভিযোগের তীর কিন্তু ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের দিকে। সেক্ষেত্রে তাদের কাছে সন্তোষজনক মিলছেনা সুরাহা। এতে গ্রাহকরা চরম হতাশায় পড়ছেন।

সচেতন মহলের মতে,ঈদগাঁও অফিসের মিটার রিডারদের বিরুদ্ধে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহন করা হউক। মূলত তাদের খামখেয়ালীপনার কারনে এহেন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে, বেকায়দায় গ্রাহক।

গ্রাহকের মতে,ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গ্রাহক হয়রানি, মনগড়া বিদ্যুৎ বিল কবে বন্ধ হবে? মিটারে যাচাই বাচাই করে বিল প্রদান করার সু-ব্যবস্থা করা হউক।

উল্লেখ্য, ঈদগাঁও পবিস অফিসের এজিএম শহিদুল আলমের কাছে তেমন কোন সুরাহা পাচ্ছেনা গ্রাহকরা। এই নিয়ে তারা হতাশায় ভোগছেন।

পাঠকের মতামত: